Skip to content

(১) ধারা ৬৬ এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বিশেষ ক্ষেত্রে, এই অধ্যায়ের বিধান অনুসারে “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” পরিগণনার ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো আয়বর্ষে করদাতার হিসাবের বহিতে অথবা অন্য কোনো দলিলাদিতে এইরূপ কোনো অঙ্কের ক্রেডিট (any sum found credited) দেখা যায়, যাহার প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে করদাতা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারেন না অথবা করদাতার ব্যাখ্যা উপকর কমিশনারের নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান হয় না, সেইক্ষেত্রে উক্ত অঙ্ক উক্ত আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে করদাতা কোনো আয়বর্ষে কোনো সম্পদের মালিক হন বা কোনো ঋণ গ্রহণ করেন বা ব্যয় নির্বাহ করেন বা এইরূপ কোনো লেনদেন করেন যাহা করদাতার পরিসম্পদকে প্রভাবিত করে, সেইক্ষেত্রে (ঘ+ঙ+চ) অপেক্ষা (ক+খ+গ) অধিক হইলে, (ক+খ+গ)- (ঘ+ঙ+চ) এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে, যেখানে-

ক= নীট পরিসম্পদের পরিবৃদ্ধি,

খ= নির্বাহকৃত প্রকৃত খরচ,

গ= ক ও খ ব্যতীত তহবিল হইতে অন্যান্য ব্যয়,

ঘ= মোট নিরূপিত আয়,

ঙ= নিরূপিত কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়, এবং

চ= ঘ ও ঙ ব্যতীত তহবিলের অন্যান্য গ্রহণযোগ্য প্রাপ্তি।

(৪) যেইক্ষেত্রে করদাতা বাণিজ্যিক মজুদ বা আর্থিক পরিসম্পদ ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রয় করেন এবং উপকর কমিশনারের বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, করদাতা কর্তৃক পরিশোধিত মূল্য ন্যায্য বাজার মূল্য অপেক্ষা কম, সেইক্ষেত্রে পরিশোধিত মূল্য ও ন্যায্য বাজার মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য, তাহা 1[সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে] করদাতার আয় হিসাবে গণ্য হইয়া “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ হইবে।

(৫) কোনো চুক্তি বাতিল বা রদ করিবার অথবা চুক্তির কোনো শর্তে পরিবর্তন বা সংশোধনের কারণে কোনো আয়বর্ষে কোনো করদাতা ফি, কমিশন, ক্ষতিপূরণ সুনামমূল্য, যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন, এইরূপ কোনো অর্থ প্রাপ্ত হইলে তাহা সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৬) লিজ বা ভাড়ার মাধ্যমে সেলামী বা প্রিমিয়াম আকারে কোনো করদাতা কর্তৃক কোনো আয়বর্ষে কোনো এককালীন অর্থ প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হইলে তাহা করদাতার উক্ত আয়বর্ষে “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৭) কোনো আয়বর্ষে কোনো করদাতা কর্তৃক কোনো পরিসম্পদ অর্জনকালে পরিশোধিত অর্থ হইতে অংশ ৭ অনুযায়ী উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ করা না হইলে এইরূপ পরিশোধিত অর্থ করদাতার উক্ত আয়বর্ষে “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৮) ঋণের দায় মওকুফের প্রেক্ষিতে কোনো আয়বর্ষে কোনো করদাতা যদি কোনো প্রকার লাভ বা সুবিধা প্রাপ্ত হন, তবে তাহা অর্থে রূপান্তরযোগ্য হউক বা না হউক, উক্ত লাভ বা সুবিধার অর্থমূল্য উক্ত আয়বর্ষে করদাতার আয় হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহা “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধান নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(ক) কোনো তফসিলি ব্যাংক অথবা [ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন)] এর অধীন নিবন্ধিত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাভাবিক ব্যক্তি বরাবর ঋণ অথবা সুদ মওকুফ;

(খ) কোনো ব্যক্তি করদাতার স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনকৃত কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ বা উহার অধীন প্রণীত বিধির আলোকে নিবন্ধিত মার্চেন্ট ব্যাংকার এন্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার বা স্টক ব্রোকার কর্তৃক কোনো মার্জিন লোন বা উহা হইতে উদ্ভূত সুদ মওকুফের কারণে অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) লক্ষ টাকা লাভ বা সুবিধা।

(৯) কোনো আয়বর্ষে করদাতা লটারি, শব্দজট, কার্ড গেইম, অনলাইন গেইম অথবা এইরূপ যেকোনো প্রকৃতির খেলায় জয় লাভ করিয়া কোনো অর্থ প্রাপ্ত হইলে, এইরূপ প্রাপ্তি উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে।

(১০) যেইক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নহে, এইরূপ কোনো কোম্পানি কোনো আয়বর্ষে কোনো শেয়ারহোল্ডারের নিকট হইতে ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যতীত নগদে পরিশোধিত মূলধন প্রাপ্ত হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত পরিশোধিত মূলধন উক্ত আয়বর্ষে কোম্পানি করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন হিসাবে নগদ ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ বা সেবা গৃহীত হইলে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(১১) যেইক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি করদাতা অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোনোভাবে যেকোনো পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অর্থ যেই বৎসর ঋণ হিসাবে গৃহীত হইয়াছিল, সেই আয়বর্ষে উক্ত করদাতার আয় হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহা “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় বর্ণিত কোনো ঋণ বা তাহার অংশবিশেষ পরবর্তী কোনো আয়বর্ষে পরিশোধ করা হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপে পরিশোধিত অর্থ উক্ত পরবর্তী আয়বর্ষের আয় পরিগণনার সময় বাদ যাইবে।

(১২) যেইক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি করদাতা সরাসরি বা ভাড়ায় এক বা একাধিক মোটর কার বা জিপ ক্রয় করে এবং কোনো মোটর কার বা জিপের মূল্য রিজার্ভ ও পুঞ্জিভূত মুনাফাসহ তাহার পরিশোধিত মূলধনের ১০ (দশ) শতাংশের অধিক হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ ১০% (দশ শতাংশ) অতিক্রান্ত হওয়া অর্থের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) উক্ত আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(১৩) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি করদাতা অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রসড চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কোনো অগ্রিম, ঋণ, [***] বা অন্য কোনো প্রকার ডিপোজিট হিসাবে সর্বমোট ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অধিক পরিমাণের কোনো অর্থ গ্রহণ করেন, সেইক্ষেত্রে উক্তরূপে গৃহীত অর্থ যেই বৎসর অগ্রিম, ঋণ, [***] বা অন্য কোনো প্রকার ডিপোজিট হিসাবে গৃহীত হইয়াছিল, সেই আয়বর্ষে উক্ত করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই উপ-ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না

(ক) স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা বা সন্তানের নিকট হইতে এইরূপ অর্থ গ্রহণ করা হইলে এবং উহা [দাতা ও গ্রহীতার রিটার্নে প্রদর্শিত হইলে];

(খ) ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির সহিত নিবন্ধিত কোনো সংস্থা কর্তৃক গৃহীত কোনো ডিপোজিট।

(১৪) যেইক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় জড়িত নহে এইরূপ কোনো করদাতা কোনো গৃহসম্পত্তি বা তাহার অংশবিশেষ নির্মাণ বা মেরামতের জন্য বাকিতে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করেন এবং এইরূপ ক্রয়-সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষ সমাপ্তির পরবর্তী ২ (দুই) আয়বর্ষের মধ্যে তাহা পরিশোধ না করেন, সেইক্ষেত্রে তাহা উক্ত ২ (দুই) আয়বর্ষ সমাপ্ত হইবার পরবর্তী আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে ।